ঢাকাTuesday , 11 February 2025
আজকের সর্বশেষ সবখবর

হাছান মাহমুদের দুর্নীতি: পরিবারের ৭০টি ব্যাংক একাউন্টে ৭৫০ কোটি টাকা লেনদেন

খান শুভ
February 11, 2025 11:23 am
Link Copied!

আত্মগোপনে থাকা সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ। ফাইল ছবি


দ্য স্টার নিউজ ডেস্ক ,

দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন আত্মগোপনে থাকা সাবেক মন্ত্রী . মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ। স্ত্রীকন্যা, পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ নামেবেনামে স্থাবর অস্থাবর সম্পদের তথ্য দেখে রীতিমতো চোখ যেন কপালে উঠেছেদুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মককর্তাদের।বাসস হাতে আসা ব্যাংক হিসাবে তথ্যে দেখা যায়, হাছান মাহমুদ, তার স্ত্রী নুরানফাতেমা, মেয়ে নাফিসা জুমাইনা মাহমুদ তাদের নামীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর নামে ৭০টি ব্যাংক হিসাব পাওয়া গেছে।

সেসব একাউন্টগুলো থেকে প্রায় সাড়ে শত কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। এই ব্যাংক হিসাবগুলোতে বর্তমানেস্থিতি আছে ২৩ কোটি ৬০ লাখ ৭৪ হাজার ২০২ টাকা। দেশের মেঘনা ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামি ব্যাংক, এবি ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, ফাস্ট সিকিউিরিটি ইসলামি ব্যাংক, মিউচ্যুাল ট্রাস্ট ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, পুবালী ব্যাংকসহ আরোকয়েকটি ব্যাংকে এই লেনদেন হয়েছে। যে সব ব্যাংকে হিসাবগুলো পাওয়া গেছে সেগুলোর মধ্যে গ্লোবাল ইসলামি ব্যংকে১৬টি, মেঘনা ব্যাংকে ১৭টি, এবি ব্যাংকে নয়টি, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে দুটি, ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংকে ১৮টিজনতা ব্যাংকে একটি, ইউনিয়ন ব্যাংকে চারটি এবং পুবালী ব্যাংকে একটি একাউন্ট।

অথচ হাছান মাহমুদ স্ত্রীর নুরান ফাতেমার আয়কর ফাইলের সঙ্গে এসব আয় সঙ্গতিপূর্ণ নয়। হিসাব কষে দেখা যায়, আয়কর ফাইলের তথ্যের চেয়ে বর্তমানে খুঁজে পাওয়া সম্পদ অর্জনের হার প্রায় সাড়ে হাজার গুণ বেশি।হাছান মাহমুদেরস্ত্রী কন্যা ছাড়াও তার দুভাই এরশাদ মাহমুদ এবং খালেদ মাহমুদের নামেও বিপুল স্থাবরঅস্থাবর সম্পদ গড়েছেন। তাদেরমাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচার, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় জমি দখল, বন বিভাগের পাহাড় দখল, বাংলো বাড়ি বাগান বাড়িনির্মাণ, পুকুর কেটে মৎস্য চাষ, চট্টগ্রাম ঢাকায় অট্টালিকা ভবন ফ্ল্যাট এর মালিকানা, আবুধাবির আজমান এলাকায়বিশাল জায়গা নিয়ে রিসোর্ট তৈরির মতো বিভিন্ন অভিযোগ জমা হচ্ছে। 

হাছান মাহমুদ পরিবারের সদস্যদের নামে অর্জিত স্থাবর অস্থাবর সম্পদের খোঁজে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের(দুদক) পাঁচ সদস্যের অনুসন্ধান টিম। টিমের সদস্যদের মধ্যে রয়েছে, উপপরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান, উপপরিচালক কমলেশ মন্ডল, সহকারী পরিচালক আল আমিন, সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিল ইসলাম সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলম। তারা দেশে দেশের বাইরে কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদের তথ্য পেয়েছে। যাযাছাই বাছাই করা হচ্ছে।

হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগের টানা ১৬ বছরের শাসনামলে বন পরিবেশ মন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।সর্বশেষ পররাষ্ট্র মন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের সময় ২৪ এর জুলাইআগস্ট বিপ্লবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেআত্নগোপনে চলে যান।দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, হাছান মাহমুদ মন্ত্রী থাকা অবস্থায় স্ত্রী নুরান ফাতেমাকে জাহাজব্যবসায়ী হিসেবে লাইসেন্স পেতে সহায়তা করেছেন। একটি কন্টেইনার জাহাজসহ দুটি জাহাজ নির্মাণ করেছেন। আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর চট্টগ্রামের এক জাহাজ তৈরি প্রতিষ্ঠান এফএমসি গ্রুপ পক্ষ থেকে সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদএর স্ত্রী নুরান ফাতেমাসহ সাতজনের নামোল্লেখ করে ১৯জনের বিরুদ্ধে জাহাজ নির্মাণের চুক্তির টাকা পরিশোধ না করাএবং হামলার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছে।

মামলায় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে পানিতে জাহাজ ভাসানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। দুদক অনুসন্ধানকালে অভিযোগপেয়েছে, হাছান মাহমুদ বন পরিবেশ মন্ত্রী থাকাকালীন রাতারাতি নিজের স্ত্রীকে জাহাজের লাইসেন্স দিয়ে জাহাজব্যবসায়ী বানিয়ে দেন। জাহাজ তৈরির জন্য রূপালী ব্যাংক থেকে ১২ কোটি টাকা গ্রহণ করলেও তা পরিশোধ না করায় এখনসুদাসলে সাড়ে ১৯ কোটি টাকা হয়েছে। 

হাছান মাহমুদের একমাত্র কন্যা নাফিসা জুমাইনা মাহমুদের জন্ম ২০০০ সালের অক্টোবর। সেই হিসেবে জুমাইনার বয়স ২৪বছর মাস।  জুমাইনার নামে মেঘনা ব্যাংক, ফাস্ট সিকিউিরিটি ইসলামি ব্যাংক ইউনিয়ন ব্যাংকে একক নামে একাউন্টরয়েছে চারটি। এসব একাউন্টে লেনদেন হয়েছে কোটি ৭০ লাখ টাকা। ব্যাংকে জমা রয়েছে ৯৬ লাখ টাকা। দি ডেইলিপিপলস লাইফ নামে একটি ইংরেজি দৈনিকের প্রকাশক নাফিসা জুমাইনা মাহমুদ। পত্রিকাটির সম্পাদক হিসাবে রয়েছেনআজিজুল ইসলাম ভুঁইয়া। পিতা হাছান মাহমুদ তথ্যমন্ত্রী থাকার সুবাদে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই পত্রিকার ডিক্লারেশননেয়া হয়েছে। দি ডেইলি পিপলস লাইফ পত্রিকার নামে ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংকের বনশ্রী শাখায় একটি একাউন্টখোলা হয়েছে ২০২৩ সালের জুন। পত্রিকার নামে খোলা এই একাউন্টে লেনদেন হয়েছে ৭২ লাখ ১৬ হাজার ৫১৬ টাকা।জমা রয়েছে  ১৯ লাখ ৯৬ হাজার ৪৩৪ টাকা। অথচ আয়কর প্রদানের কোনো নথির তথ্য পাওয়া যায়নি। 

দুদকের তদন্তে হাছান মাহমুদের নামে ছয়টি ব্যাংক একাউন্ট রয়েছে। সবগুলো একাউন্ট খোলা হয়েছে মেঘনা ব্যাংক, গ্লোবালইসলামি ব্যাংক, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এবি ব্যাংক চট্টগ্রামে বিভিন্ন ব্রাঞ্চে। হিসাবগুলোর মধ্যে রয়েছেএবি ব্যাংকচট্টগ্রামের পোর্টকানেক্টিং শাখার একাউন্ট নম্বর৪১২৭০৭১৬৬০২৮২, গ্লোবাল ইসলামি ব্যাংক, চট্টগ্রামের নবাবসিরাজদৌলা রোড় শাখার একাউন্ট নম্বর১১১১০০০৫৫৮৪৭৮ এবং ১১১১০০০০২৪৯২৩।  মেঘনা ব্যাংক, আগ্রাবাদশাখার হিসাব নম্বর২১০১১২১০০০০১২৬৮, ২১০১৩০৫০০০০০৫৫৯, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক জুবলী রোড় মঅখার হিসাবনম্বর০০১৮০৩৩০০০৮১৭৪।

এছাড়াও হাছান মাহমুদের স্ত্রী নুরান ফাতেমা নামে ব্যাংক একাউন্ট রয়েছে ১১টি। কন্যা নাফিসা জুমাইনা মাহমুদের নামেচারটি, হাছান মাহমুদ স্ত্রী নুরান ফাতেমার যৌথ নামে দুটি, নুরান ফাতেমা সালাহউদ্দিন যৌথ নামে একটি, বিসমিল্লাহমেরিন সার্ভিসেস ব্যবসায়িক পার্টনার দেখানো হয়েছে হাছান মাহমুদ তার স্ত্রী নুরান ফাতেমাকে। বিসমিল্লাহ মেরিনসার্ভিসেস নামে দুজনের যৌথ একাউন্ট রয়েছে ১৯টি। মেসার্স বিসমিল্লাহ সার্ভিসেস নামে একাউন্ট রয়েছে আটটি, দিবিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসেস লিমিটেড নামে একাউন্ট পাঁচটি, মেসার্স বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসেস জে..এস লি. নামেএকটি, মেসার্স বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসেস ম্যানেজমেন্ট এন্ড হোল্ডিংসের নামে ছয়টি একাউন্ট রয়েছে। 

অনুসন্ধানে দেখা যায়বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসেসকে আগে পরে শব্দ ব্যবহার করে অনেকগুলো একাউন্ট খোলারপ্রতারনা করা হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে অস্ট্রেলিয়াবাংলাদেশ সোলার পাওয়ার লিমিটেডের নামে তিনটি একাউন্ট সুখিবাংলা ফাউন্ডেশনের নামে দুটি একাউন্টে লেনদেন।    

বাসস হাতে আসা ব্যাংক হিসাবে দেখা যায়, আলোচ্য ব্যাংক হিসাবের মধ্যে ১১টি একাউন্ট থেকে ২৭ কোটি ৫৪ লাখ ৫৯হাজার ৭৪৯ টাকা সম্পুর্ণ তুলে নিয়ে একাউন্ট শূন্য করেছেন। এর মধ্যে দেখা যায়, গ্লোবাল ইসলামি ব্যাংক চট্টগ্রামেরমেহেদিবাগ শাখায় খোলা দুটি একাউন্টের মধ্যে ১৩২০০০০০৪৩৪৭৭ একাউন্ট টি ৪১ দিন পর ক্লোজড করে কোটি ৯৪হাজার ৭২২ টাকা তুলে নেয়া হয়। একই শাখার ১১১১০০০০২০২৪৬ একাউন্টটি খোলার ৪৭ দিন পর   কোটি টাকা তুলেনিয়ে হিসাব ক্লোজড করা হয়। 

সর্বশেষ নির্বাচনী হলফনামায় হাছান মাহমুদ বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট দোকানভাড়া খাতে বছরে আয় লাখ ৪৭ হাজার টাকা, কৃষিখাতে লাখ ৩০ হাজার, ব্যাংক অন্যান্য খাত থেকে সম্মানী বাবদ আয় লাখ ২২ হাজার ২৬৩ টাকা উল্লেখ করেন।সংসদ সদস্য মন্ত্রী হিসেবে প্রাপ্ত ভাতা বাদ দিলে হাছান মাহমুদের বাৎসরিক আয় লাখ ৭৭ হাজার টাকা। আর ২০১৮সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বার্ষিক আয় ছিল লাখ ৮০ হাজার টাকা। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনকমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় এবার তার নামে ঋণ দেখানো হয়েছে কোটি ২৮ লাখ টাকা।

এর মধ্যে গ্লোবাল ইসলামি ব্যাংকে তার ব্যক্তিগত ঋণ রয়েছে কোটি ২৫ লাখ টাকা। জামানত বিহীন ঋণ আছে ৯১ লাখটাকার। ভাইদের কাছ থেকে ঋণ রয়েছে ১২ লাখ টাকার।দুদকের অনুসন্ধান টিম সূত্র জানান, চট্টগ্রামের দেওয়ানবাজারএলাকায় একটি ১৫ তলা ভবনসহ তিনটি বহুতল ভবন রয়েছে হাছান মাহমুদের। একই এলাকার দেওয়ানজি পুকুর পাড়এলাকায় রয়েছে স্ত্রীর নামে বহুতল ভবন। ঢাকার পিংক সিটিতে রয়েছে তিনটি বাড়ি। প্লট বাড়ি আছে রাজধানীর বসুন্ধরাআবাসিক এলাকাতেও। সংযুক্ত আরব আমিরাতের আজমানে পুরো একটি এলাকা কিনে করেছেন বাড়ি, হোটেলসহ বহুস্থাবর সম্পদ। রাজধানীর চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (এফডিসি) পাশে শতকোটি টাকা মূল্যের একটি বাণিজ্যিক প্লটকিনেছেন তিনি। 

নিজ নির্বাচনী এলাকা রাঙ্গুনিয়ায় জমি দখলেরও অভিযোগ আছে সাবেক এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ১৬দশমিক ১৯ একর পাহাড় দখল করে আবাসন প্রকল্প করেন। চট্টগ্রামের খুলশী, বাকলিয়া গাজীপুরের বিভিন্ন মৌজায়রয়েছে তার কয়েক একর সম্পত্তি। বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন চট্টগ্রামের সিরাজুদ্দৌলা সড়কেও। বিভিন্ন ব্যাংকে রয়েছেবিপুল পরিমাণ অর্থ এফডিআর। বাড়ি কিনেছেন কানাডায়। চট্টগ্রামের মাতারবাড়ীতে কয়লাবিদ্যুৎ গভীর সমুদ্রবন্দরেরকাজের নানা ঠিকাদারি তার নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু এসবের কোনোটিই তার আয়কর বিবরণী বা হলফনামায় উল্লেখ নেই।জানা গেছে, হাছান মাহমুদ মাছ ধরার ট্রলার নির্মাণের জন্য ২০১৩ সালে রূপালী ব্যাংক থেকে ঋণ নেন। ১১ বছরের বেশিসময় ধরে টাকাও পরিশোধ করেননি। এরপরও নিয়মিত আছে তার ঋণ। প্রভাব খাটিয়ে অভিনব কায়দায় কিস্তিপরিশোধের সময় এলেই গ্রেস পিরিয়ড তথা পরিশোধ শুরুর সময় বাড়িয়ে নিয়েছেন। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সুদমওকুফ করে নিয়েছেন কয়েক দফা।

এখন ব্যাংকের পাওনা সাড়ে ১৯ কোটি টাকা। এদিকে সরকার পতনের পর সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী . হাসান মাহমুদ তার স্ত্রীফাতেমাসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে ১২জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মামলাহয়েছে। গত সেপ্টেম্বর পাঁচলাইশ থানায় মামলাটি দায়ের করেন চট্টগ্রাম নগরীর হিলভিউ হাউজিং সোসাইটিস্থএফ.এম.সি গ্রুপের হেড ক্লার্ক ফিরোজ আহমদ। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে . হাছান মাহমুদের স্ত্রী নুরেনফাতেমা, ২য় আসামি . হাছান মাহমুদ, তার দুইভাই খালেদ মাহমুদ, এরশাদ মাহমুদ এবং অন্যান্য আসামিরা হলেনইমরুল করিম রাশেদ, দি বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসেস জেনারেল ম্যানেজার সৈয়দ নুর উদ্দিন হিসাব বিভাগ প্রধানএরাদুল হক। 

মামলায় অভিযোগ আনা হয়, চট্টগ্রাম নগরীর হিলভিউ হাউজিং সোসাইটিস্থ এফ.এম.সি গ্রুপ নামে জাহাজ নির্মাণকারীএকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে . হাছান মাহমুদ তার স্ত্রীর মালিকানধীন দি বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসেস একটি কন্টেনার একটি ফিশিং জাহাজ নির্মাণের চুক্তি হয়। কিন্তু আসামিরা বল প্রয়োগ করে কোন ব্যয় বহন না করে একটি ফিশিং জাহাজডেলিভারি করে নেয়। পরে অরেকটি কন্টেইনার জাহাজও নির্মাণ ব্যয় বহন না করে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ডেলিভারিনিয়ে  নেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। পরবর্তীতে আসামিরা দলবদ্ধভাবে জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানটিতে প্রবেশ করেকর্মকর্তাকর্মচারীদের মারধর করে এবং অফিস কক্ষ ভাঙচুর করে লাখ টাকা ক্ষতি সাধনের অভিযোগ করা হয়।

দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, হাছান মাহমুদ বন পরিবেশ মন্ত্রী থাকাকালে নিজ নির্বাচনী এলাকা রাঙ্গুনিয়ায় বনবিভাগের ২১২ একর জমি জোর দখল করে সেখানে বাগান বিলাস নির্মাণ করেছেন। গরুর খামার গড়ে তুলেছেন। আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর বন বিভাগ সে সব জমি পুনরায় দখলে নিয়ে বাগান বাড়ির স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করেছে। দুদকজানিয়েছে, গত ১৬ জানুয়ারি আদালতের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। অনুসন্ধানে পাওয়া অন্যান্যসম্পদ জব্দের ব্যাপারেও সম্পূরক তথ্য আদালতকে অবহিত করা হবে।  

সুএ : বাসস

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।