ঢাকাTuesday , 11 February 2025
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রতিরোধে প্রস্তাব করেছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন

খান শুভ
February 11, 2025 7:56 am
Link Copied!

বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান ফেব্রুয়ারি বিচার বিভাগসংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা . ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করেন। ছবি: Chief Adviser GOB


আরিফ খান শুভ

বিশেষ প্রতিনিধি

মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা প্রতিরোধে একটি বাস্তবানুগ আইন প্রণয়নে প্রস্তাব করেছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন।প্রধান উপদেষ্টা . মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বুধবার হস্তান্তর করা হয়। রাষ্ট্রীয়অতিথি ভবন যমুনায় বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমানপ্রতিবেদনটি হস্তান্তর করেন।

পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে সংস্কার প্রস্তাবের সারসংক্ষেপ গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। মোট ২৮ দফা প্রস্তাবের ২৫নম্বরে রয়েছে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন সংক্রান্ত অংশটি।মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা প্রতিরোধ বিচার বিভাগ সংস্কারকমিশনের প্রতিবেদনে প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা প্রতিরোধ বিষয়ে একটি বাস্তবানুগ আইন প্রণয়নেরলক্ষ্যে নিবিড় ব্যাপক পরীক্ষানিরীক্ষা অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনাক্রমে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ।

ফৌজদারি কার্যবিধির ২৫০ ধারার অনুরূপ একটি বিধান উক্ত কার্যবিধির ২৩ অধ্যায়ে (দায়রা আদালত কর্তৃক বিচার) সন্নিবেশ করা। ফৌজদারি কার্যবিধির ২৫০ ধারায় উল্লিখিত জরিমানা ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বৃদ্ধিকরণ। মিথ্যা বাহয়রানিমূলক মামলা বলে সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ থাকলে (বিশেষতঃ এজাহারে অস্বাভাবিক সংখ্যক অভিযুক্ত ব্যক্তিরনাম থাকলে), অপরাধ সংঘটনে কোনো আসামির সুনির্দিষ্ট কোনো ভূমিকার উল্লেখ এজাহারে না থাকলে সেই আসামিকেগ্রেফতার করা হবে না এই মর্মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক পুলিশের প্রতি নির্দেশনা জারি।

প্রস্তাবে আরো বলা হয়েছে, মিথ্যা বা হয়রানিমূলক মামলা বলে সন্দেহ করা যায় এরূপ মামলায় কোনো আসামি পুলিশকর্তৃক গ্রেফতার হলে পাবলিক প্রসিকিউটর বা ক্ষেত্রমত, কোর্ট ইন্সপেক্টর বা কোর্ট সাবইন্সপেক্টর, আদালতে ওই আসামিরজামিনের বিরোধীতা করবে না এই মর্মে আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক পাবলিক প্রসিকিউটরদের প্রতি নির্দেশনা প্রদান।

কোন আইনজীবী বিচারিক কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি করলে (যেমন, ফৌজদারি কার্যবিধির ২০০ ধারার অধীনে ম্যাজিস্ট্রেট কোনকার্যধারা গ্রহণ করলে বা জামিনের আবেদন মঞ্জুর বা নামঞ্জুর করলে আদালতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা, ম্যাজিস্ট্রেটকে হুমকিদেওয়া বা তার ওপর চাপ সৃষ্টি করা, ইত্যাদি) তার বিরুদ্ধে পেশাগত আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে কার্যধারা সূচনা করা হবেএই মর্মে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল কর্তৃক প্রতিটি বার এসোসিয়েশনের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে সবআইনজীবীকে সতর্ককরণ।

ইতোমধ্যে যে সব মামলা পুলিশ বা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দায়ের হয়েছে এবং তদন্তাধীন আছে সেগুলোর তদন্ত যাতে দ্রুত সম্পন্নকরে নিরাপরাধ ব্যক্তিদের ব্যাপারে ফাইনাল রিপোর্ট প্রদান করা হয় বা চার্জশিটে তাদের অব্যাহতি দেওয়ার (নট সেন্ট আপ) আবেদন করা হয়, সে জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্দেশনা প্রদান।উল্লেখিত দফার কার্যক্রম তদারকির জন্য প্রতি বিভাগেএকটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করা যাতে কোনো প্রকৃত অপরাধী পুলিশের সঙ্গে যোগসাজশের মাধ্যমে মামলাথেকে অব্যাহতি না পায়।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।