দিপা আক্তার
- “রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ কঠোর অভিযান পরিচালনা করছে।”
এ অভিযানের অংশ হিসেবে বুধবার (২২ জানুয়ারি) আটটি ট্রাফিক বিভাগের সমন্বয়ে পরিচালিত অভিযানে ১,৯৬৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অভিযানের প্রধান দিকসমূহ
১. ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের শাস্তি:
১,৯৬৯টি মামলার মাধ্যমে চালকদের মধ্যে ট্রাফিক আইন মেনে চলার প্রবণতা বাড়ানোর প্রয়াস নেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন প্রকার যানবাহনের চালকদের বিরুদ্ধে ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য, রেজিস্ট্রেশন ব্যতীত গাড়ি চালানো, ওভারস্পিডিং, ওভারলোডিং, এবং হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।
২. গাড়ি ডাম্পিং ও রেকার:
অভিযানের সময় ৭৫টি গাড়ি ডাম্পিং এবং ৫৭টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
অবৈধ পার্কিং, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, এবং রাস্তার ওপর অযথা যানজট সৃষ্টির জন্য এসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা আনা এবং দুর্ঘটনা রোধ করাই এই অভিযান পরিচালনার মূল উদ্দেশ্য। প্রতিদিন রাজধানীতে ট্রাফিক আইন ভঙ্গের কারণে যানজট ও দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কঠোর করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
ডিএমপি জানিয়েছে, ট্রাফিক আইন মানা প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব। বিশেষ করে চালকদের ট্রাফিক সিগন্যাল মানা, বৈধ রেজিস্ট্রেশন ব্যবহার, নির্ধারিত গতিসীমার মধ্যে গাড়ি চালানো, এবং সঠিক লেন অনুসরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন রোধে এই ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চালানো হবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ট্রাফিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং ঢাকাবাসীর যাতায়াত আরও নিরাপদ করার লক্ষ্যে ডিএমপি কাজ করে যাবে।
ট্রাফিক শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা। ডিএমপির এই কঠোর অভিযান একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হলেও জনসচেতনতা ছাড়া এটি দীর্ঘমেয়াদী সুফল দিতে পারবে না। আইন মেনে চলার অভ্যাস গড়ে তুলতে প্রশাসনের পাশাপাশি নাগরিকদেরও এগিয়ে আসা প্রয়োজন।