দিপা আক্তার
বিশেষ প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁও জেলার ভূল্লী বাজার এলাকায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মোঃ আরমান আলী নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্ত যুবক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটকের মাধ্যমে কিশোরীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলে তাকে প্রলোভনে ফেলে।
ভুক্তভোগী স্থানীয় একটি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী। টিকটকের মাধ্যমে অভিযুক্তের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। অভিযুক্ত নিজেকে অবিবাহিত এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য বলে মিথ্যা পরিচয় দেয়।
১৮ জানুয়ারি সকালে কিশোরী কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে অভিযুক্তের সঙ্গে দেখা করে। অভিযুক্ত তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একটি অটো রিকশায় তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক তার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালায়।
২০ জানুয়ারি দুপুরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ভূল্লী থানা পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে। অভিযুক্তকে তার মামার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তার হওয়া যুবক মোঃ আরমান আলী (২৫), ঠাকুরগাঁও জেলার রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের বাসিন্দা।
ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে ২১ জানুয়ারি ভূল্লী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ সালের সংশোধিত ধারা ৭/৯(১) এর অধীনে মামলা দায়ের করেছেন।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই দীন মোহাম্মদ জানিয়েছেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত নিজের দোষ স্বীকার করেছে। ভুক্তভোগীর শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এবং রিপোর্ট মামলার তদন্তে সহায়তা করবে।
ভূল্লী থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, “এ ধরনের ঘটনা দমনে আমরা কঠোর। অভিযুক্তকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার কিশোর-কিশোরীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। বিশেষজ্ঞরা অভিভাবকদের সন্তানের প্রতি আরও সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। পুলিশের তৎপরতায় এলাকাবাসী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।